মালদা

মায়ের ফোন, তারপরেই ঘরের তিরে গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী ১০ বছরের ছেলে গাজোলের ঘটনা

মা-র ফোন পেয়ে ঘরের তিরে গামছা দিয়ে ফাঁস দিল দশ বছরের এক ছেলে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার গাজোল থানার করকচ অঞ্চলের মশালদিঘী এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

জানা যায়,মৃতের নাম সম্রাট হালদার(১০), বাড়ি গাজোলের করকচ অঞ্চলের বজরুল বাঙ্গালা এলাকায়। তিন বছর আগে সম্রাটের বাবা সমির হালদার মারা যায়। তারপর সম্রাটের মা ঝর্ণা হালদার অন্য পুরুষের সাথে বিয়ে করে ভিন্য রাজ্যে চলে যায়। তখন থেকেই সম্রাট তার মামার বাড়ি মশালদিঘীতে তার দাদু-দিদিমার সাথে থাকত। সেখানেই সে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশুনো করত। এদিন তার দাদু-দিদিমা কাজ করতে বাইতে যায়। তখন তার মা ঝর্ণা হালদারের ফোন আসার পর সে ঘরের তিরে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এদিন সন্ধ্যে বেলায় সম্রাটের দিদিমা বাড়ি ফিরে দেখতে পায় সম্রাটের ঝুলন্ত দেহ। তারপর স্থানীয়রা তার দেহ উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পরে স্থানীয়রা খবর দেয় গাজোল থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ। 

এবিষয়ে সম্রাটের মামার বাড়ির প্রতিবেশী জানান, এদিন সম্রাটের দাদু-দিদিমা কাজের জন্য বাইরে যায়। তখন সম্রাট তার ঘরের তিরে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দেয়। পরে তারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। 

অন্যদিকে, সম্রাটের বাবার বাড়ির প্রতিবেশীদের অভিযোগ, সম্রাটের এই মৃত্যুর কারণ হিসাবে তার দাদুর বাড়ির লোক। তা না হলে দাদুর বাড়ির লোকেরা সম্রাটকয়ে হাসপাতালে দেখতে আসেননি কেন?